জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
জন্ম আমার ধন্য হলো মাগো
এমন করে আকুল হয়ে
আমায় তুমি ডাকো।।
তোমার কথায় হাসতে পারি
তোমার কথায় কাঁদতে পারি
মরতে পারি তোমার বুকে
বুকে যদি রাখো মাগো।।
তোমার কথায় কথা বলি
পাখির গানের মতো
তোমার দেখায় বিশ্ব দেখি
বর্ণ কত শত।
তুমি আমার—খেলার পুতুল
আমার পাশে থাক মাগো।।
তোমার প্রেমে তোমার গন্ধে
পরান ভরে রাখি
এইতো আমার জীবন-মরণ
এমনি যেন থাকি।
বুকে তোমার—ঘুমিয়ে গেলে
জাগিয়ে দিও নাকো মাগো।।


[গানটির গীতিকার নয়ীম গহর ও গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন]




ষোলই ডিসেম্বর
ষোলই ডিসেম্বর
তুমি গর্ব আমার, আমার অহঙ্কার
সালাম তোমায়, তোমায় নমস্কার।।
সেদিন যখন জ্বলে ওঠে বাঙালী
নিয়ে আপন পরিচয়
মানব দানব তোমার কাছে
প্রাণ ভিক্ষা চায়
তখন আমার মায়ের আঁচল উড়ে আকাশে
এমন ক্ষণ আমি পাই নাগো আর।।
ইতিহাসের যত রুদ্ধ পাতা
পেরিয়ে তোমায় পেলাম
প্রতি পাতায় রক্তে লেখা
শত শহীদের নাম
এলে তুমি আলো হয়ে মোছাতে অন্ধকার
এমন আলো বাধা মানে নাগো আর।।


[গানটি লিখেছেন এস এম আবু বকর ও সুর করেছেন রবিউল হুসেইন]





মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা।
(মাগো) তোমার কোলে, তোমার বোলে, কতই শান্তি ভালোবাসা।।
কি যাদু বাংলা গানে, গান গেয়ে দাঁড় মাঝি টানে,
গেয়ে গান নাচে বাউল, গান গেয়ে ধান কাটে চাষা।।
বিদ্যাপতি, চণ্ডী, গোবিন্‌, হেম, মধু, বঙ্কিম, নবীন-
ঐ ফুলেরই মধুর রসে বাঁধলো সুখে মধুর বাসা।।
বাজিয়ে রবি তোমার বীণে, আনলো মালা জগৎ জিনে।
তোমার চরণ-তীর্থে (মাগো) আজি জগৎ করে যাওয়া-আসা।।
ঐ ভাষাতেই নিতাই গোরা, আনল দেশে ভক্তি-ধারা,
আছে কৈ এমন ভাষা এমন দুঃখ-শ্রান্তি-নাশা।।
ঐ ভাষাতেই প্রথম বোলে, ডাকনু মায়ে ‘মা, মা’ বলে;
ঐ ভাষাতেই বলবো হরি, সাঙ্গ হলে কাঁদা হাসা।।



এই বাংলার মাটিতে
এই বাংলার মাটিতে
(মাগো) জন্ম আমায় দিও।
এই আকাশ, নদী, পাহাড়
আমার বড় প্রিয়।।
কোথায় বলো এতো স্বপন
হাওয়াতে ভাসে।
কোথায় বলো এতো বকুল
বসন্তে হাসে।
শরৎ আকাশ কোথায় বলো
এমন রমণীয়।।
বার মাসে তের পাবণ
বলো কোথায় আছে।
মেঘের খটা দেখে এমন
ময়ূর কোথায় নাচে।
কোথায় বলো এতো মায়া
ধানের ক্ষেতে দোলে।
কোথায় বলো হাসে শিশু
সুখে মায়ের কোলে।
কোথায় বলো পল্লী বধূ
এমন কোমনীয়।।





হায় রে আমার মন মাতানো দেশ,

হায় রে আমার মন মাতানো দেশ,
হায় রে আমার সোনা ফলা মাটি।
রূপ দেখে তোর কেন আমার নয়ন ভরে না
তোরে এতো ভালোবাসি তবু পরান ভরে না।।
যখন তোর ওই গাঁয়ের ঘরে
ঘুঘু ডাকা নিঝুম কোনো দুপুরে।
হংস মিথুন ভেসে বেড়ায়
শাপলা ফোটা তলতলে ওই পুকুরে।
নয়ন পাখি দিশা হারায়
প্রজাপতির পাখায় হারায়
তাদের কথা মনে ধরে না।।
যখন তোর ওই আকাশ নীলে
পাল তুলে যায়, সাত সাগরের পশরা।
নদীর বুকে হাতছানি দেয়,
লক্ষ ছেলে, মানিক-জ্বালা ইশারা।
হায় রে আমার বুকের মাঝে,
হাজার তারের বীণা বাজে
অবাক চোখে, পলক পড়ে না।।






বাংলাদেশের শিশু মোরা বাংলা ভালোবাসি

বাংলাদেশের শিশু মোরা বাংলা ভালোবাসি
দেশের ডাকে মরতে পারি, দেশের ডাকে আসি।
সেই তো আমার বাংলাদেশ, আমাদেরই বাংলাদেশ।।
দেশটাকে ভাই গড়তে হলে করতে হবে আগে,
শিক্ষা শুধু জীবন গড়ে, শিক্ষাতে প্রাণ যাবে।
তাই তো রে ভাই সবাই মিলে পাঠশালাতে আসি।।
সত্য ন্যায়ের গড়তে জীবন শিক্ষাই হোক হাতিয়ার
ধন্য সেই জন এই ভুবনে শিক্ষা আছে যার।
সবার প্রাণে বাজবে এ গান যদি দেশকে ভালোবাসি।।



কেউবা বলে ধানের দেশ

কেউবা বলে ধানের দেশ
কেউবা বলে গানের দেশ
আমরা বলি প্রাণের দেশ…বাংলাদেশ।
লক্ষ কোটি প্রাণের দেশ…বাংলাদেশ।।
বাংলাদেশকে ভালোবেসে
আমাদেরই ভাই-বোনেরা
প্রাণ দিয়েছে হেসে হেসে
সেই লক্ষ জীবন দানের দেশ…বাংলাদেশ।।
সেই শহীদের স্মৃতি ঘেরা
আমাদেরই দেশটা হবে
সকল দেশের চেয়ে সেরা
সেই নতুন আহবানের দেশ…বাংলাদেশ।।






জন্ম আমার বাংলাদেশে

 জন্ম আমার বাংলাদেশে
এই তো আমার গর্ব।
মরতে যদি হয় আমাকে
দেশের জন্য মরব।।
একাত্তরে প্রাণ দিয়েছে
আমার মা-বোন-ভাই,
রক্তেরই দাম দিতে মোরা
শপথ নিলাম তাই।
আসুক না আজ শত বাধা
জান দিয়ে ভাই লড়ব।।
এই দেশেরই শ্যামল সুধায়
জুড়ায় আমার প্রাণ,
উদাস করে দেয় আমাকে
রাখালীয়ার গান।
শপথ নিলাম সবাই মিলে
সোনারই দেশ গড়ব।।









সবকটা জানালা খুলে দাওনা




সবকটা জানালা খুলে দাওনা
আমি গাইব গাইব বিজয়েরই গান
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
ভালোবেসে দিয়ে গেছে প্রাণ।।
চোখ থেকে মুছে ফেল অশ্রুটুকু
এমন খুশির দিনে কাঁদতে নেই
হারানো স্মৃতি বেদনাতে
একাকার করে মন ডাক দিলে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।
আজ আমি সারানিশি থাকব জেগে
ঘরের আলো সব আঁধার করে।
তৈরি রাখব আতর গোলাপ
এদেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে
ওরা আসবে চুপি চুপি যারা এই দেশটাকে
কেউ যেন ভুল করে গেয়নাক
মন ভাঙা গান।।


[গানটি গেয়েছেন সাবিনা ইয়াসমীন]




আমি বাংলায় গান গাই,

আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই,
আমি আমার আমিকে চিরদিন
এই বাংলায় খুঁজে পাই।
আমি বাংলায় দেখি স্বপ্ন,
আমি বাংলায় বাঁধি সুর,
আমি এই বাংলার মায়াভরা পথে
হেঁটেছি এতটা দূর।
বাংলা আমার জীবনানন্দ,
বাংলা আমার সুখ,
আমি একবার দেখি বারবার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।।
আমি বাংলায় কথা কই,
আমি বাংলার কথা কই,
আমি বাংলায় ভাসি, বাংলায় হাসি,
বাংলায় জেগে রই।
আমি বাংলায় মাতি উল্লাসে,
করি বাংলায় হাহাকার,
আমি সব দেখে-শুনে ক্ষেপে গিয়ে করি
বাংলায় চিৎকার।
বাংলা আমার দৃপ্ত শ্লোগান,
ক্ষিপ্ত তীর-ধনুক,
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি
দেখি বাংলার মুখ।।
আমি বাংলায় ভালোবাসি,
আমি বাংলাকে ভালোবাসি,
আমি তারই হাত ধরে সারা পৃথিবীর
মানুষের কাছে আসি।
আমি যা কিছু মহান
বরণ করেছি বিনিদ্র শ্রদ্ধায়
মিশে তের নদী সাত সাগরের জল
গঙ্গায় পদ্মায়।
বাংলা আমার তৃষ্ণার জল,
দৃপ্ত শেষ চুমুক।
আমি একবার দেখি, বারবার দেখি,
দেখি বাংলার মুখ।।
[গানটি গেয়েছেন প্রতুল মুখার্জী]






মাগো তোমার কোলে জন্মে

মাগো তোমার কোলে জন্মে
   পেয়েছি সুখের আলো
তাইতো তোমায় জীবন দিয়েও
   তাই বেসেছি ভালো।।
তোমার বুকের সুধায় আমি
স্বপ্ন দেখি মুগ্ধ চোখে
শিশির কণা পাত্র ছুঁয়ে
   প্রাণের পরশ পেলো।।
এখানে পদ্মা মেঘনা যমুনা
ফল্গু ধারা বয়ে চলে যায়
কুলু কুলু ঢেউ কলরোলে নাচে
   বাংলা মায়ের কোলে।।
[গানটির কথা ও সুর দিয়েছেন এ.এফ.এম. আলিমউজ্জামান]






ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা

ধনধান্য পুষ্প ভরা আমাদের এই বসুন্ধরা
তাহার মাঝে আছে দেশ এক সকল দেশের সেরা
ও সে স্বপ্ন দিয়ে তৈরি সে যে স্মৃতি দিয়ে ঘেরা
এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি
সকল দেশের রাণী সে যে আমার জন্মভূমি
সে যে আমার জন্মভূমি, সে যে আমার জন্মভূমি।।
পুষ্পে পুষ্পে ভরা শাখি কুঞ্জে কুঞ্জে গাহে পাখি
গুঞ্জরিয়া আসে অলি পুঞ্জে পুঞ্জে ধেয়ে
তারা ফুলের ওপর ঘুমিয়ে পড়ে ফুলের মধু খেয়ে।।
ভায়ের মায়ের এত স্নেহ কোথায় গেলে পাবে কেহ
ওমা তোমার চরণ দুটি বক্ষে আমার ধরি
আমার এই দেশেতে জন্ম যেন এই দেশেতে মরি।।
[গানটি লিখেছেন দ্বিজেন্দ্রলাল রায়]




এই পদ্মা, এই মেঘনা,

এই পদ্মা, এই মেঘনা,
  এই যমুনা সুরমা নদী তটে।
আমার রাখাল মন, গান গেয়ে যায়
  এই আমার দেশ, এই আমার প্রেম
আনন্দ বেদনায়, মিলন বিরহ সংকটে।।
এই মধুমতি ধানসিঁড়ি নদীর তীরে
নিজেকে হারিয়ে যেন পাই ফিরে ফিরে
এক নীল ঢেউ কবিতার প্রচ্ছদ পটে।।
এই পদ্মা, এই মেঘনা,
এই হাজারো নদীর অববাহিকায়।
এখানে রমণীগুলো নদীর মতন
নদী ও রমণীগুলো শুধু কথা কয়।।
এই অবারিত সবুজের প্রান্ত ছুঁয়ে
নির্ভয় নীলাকাশ রয়েছে নুয়ে
যেন হৃদয়ের ভালোবাসা হৃদয়ে ফুটে।।







মাঝি নাও ছাইরা দে


মাঝি নাও ছাইরা দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা-রে মাঝি গা কোন গান।।
একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীতে রে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে-
ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।।
যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইরা
আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে-
সেদিন তোর নাও মাঝি
শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে-
ও মাঝি রে-
ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।


মাঝি নাও ছাইরা দে

মাঝি নাও ছাইরা দে
ও মাঝি পাল উড়াইয়া দে
গা-রে মাঝি গা কোন গান।।
একদিন তোর নাও মাঝি
ভাসবে না রে নীল নদীতে রে
সেদিন তোর গান মাঝি
শুনবে না কেউ গাইবে না বলে-
ও মাঝি রে, ও কলের নৌকা কাইরা নিবে সুর।।
যন্ত্রের নাও ধোঁয়া ছাইরা
আঁধার করল নীল আকাশটারে, ও মাঝি রে-
সেদিন তোর নাও মাঝি
শূণ্য হয়ে থাকবে রে পরে-
ও মাঝি রে-
ও চল রে মাঝি যাইরে বহু দূর।







সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি



সূর্যদয়ে তুমি, সূর্যাস্তেও তুমি
   ও আমার বাংলাদেশ, প্রিয় জন্মভূমি।।
জলসিঁড়ি নদীর তীরে,
   তোর খুশির কাঁকন যেন বাজে
ও—কাশবনে ফুলে ফুলে,
   তোর মধুর বাসর যেন সাজে
তোর একতারা হায়,
   করে বাউল আমায় সুরে সুরে।।
আঁকাবাঁকা মেঠো পথে
   তোর রাখাল হৃদয় যেন হাসে
ও—পদ্ম পাতা, দীঘির ঝিলে
   তোর সোনার স্বপন যেন ভাসে
তোর এই আঙিনায়
   ধরে রাখিস আমায় চিরতরে।।




একতারা তুই দেশের কথা

একতারা তুই দেশের কথা
   বলরে এবার বল
আমাকে তুই বাউল করে, সঙ্গে নিয়ে চল
জীবন মরণ মাঝে, তোর সুর যেন বাজে।।
একটি কথা আমি শুধু বলে যেতে চাই
বাংলা আমার সুখে-দুখে হয় যেন গো ঠাই রে।।
একটি গান আমি শুধু গেয়ে যেতে চাই,
বাংলা আমার, আমি যে তার
   আর তো চাওয়া নাই রে।।
প্রাণের প্রিয় তুমি, মোর সাধের জন্মভূমি
     তোমায় বরণ করে
        যেন যেতে পারি মরে।।




আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী

আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, একুশে ফেব্রুয়ারী
আমি কি ভুলিতে পারি।।
ছেলে হারা শত মায়ের অশ্রু
গড়ায়ে ফেব্রুয়ারী।।
আমার সোনার দেশের
রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী।।
জাগো নাগিনীরা জাগো জাগো
জাগো কাল বোশেখীরা
শিশু হত্যার বিক্ষোভে আজ
কাপুক বসুন্ধরা।।




পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে

পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে
   রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল
জোয়ার এসেছে জন-সমুদ্রে
   রক্ত লাল, রক্ত লাল, রক্ত লাল।।
বাঁধন ছেঁড়ার হয়েছে কাল,
   হয়েছে কাল, হয়েছে কাল।।
শোষণের দিন শেষ হয়ে আসে
অত্যাচারীরা কাঁপে আজ ত্রাসে
রক্তে আগুন প্রতিরোধ গড়ে
   নয়া বাংলার নয়া শ্মশান, নয়া শ্মশান।
আর দেরি নয় উড়াও নিশান
রক্তে বাজুক প্রলয় বিষাণ
বিদ্যুৎ গতি হউক অভিযান
ছিঁড়ে ফেলো সব শত্রু জাল, শত্রু জাল।
[গানটি লিখেছেন গোবিন্দ হালদার এবং গেয়েছেন সমর দাস]




এক সাগর রক্তের বিনিময়ে

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে
বাংলার স্বাধীনতা আনলে যারা
    আমরা তোমাদের ভুলব না।
দুঃসহ এ বেদনার কণ্টক পথ বেয়ে
শোষণের নাগপাশ ছিঁড়লে যারা
    আমরা তোমাদের ভুলব না।
যুগের নিষ্ঠুর বন্ধন হতে
মুক্তির এ বারতা আনলে যারা
    আমরা তোমাদের ভুলব না।
কৃষাণ-কৃষাণীর গানে গানে
পদ্মা-মেঘনার কলতানে
    বাউলের একতারাতে
    আনন্দ ঝংকারে
    তোমাদের নাম ঝংকৃত হবে।
    নতুন স্বদেশ গড়ার পথে
    তোমরা চিরদিন দিশারী রবে।
       আমরা তোমাদের ভুলব না।।
[গানটি লিখেছেন গোবিন্দ হালদার এবং গেয়েছেন স্বপ্না রায়]




মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি

মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি সুখের হাসির জন্য অস্ত্র ধরি।।
যে মাটির চির মমতা আমার অঙ্গে মাখা
যার নদী জলে ফুলে ফুলে মোর স্বপ্ন আঁকা।
যে নদীর নীল অম্বরে মোর মেলছে পাখা
সারাটি জীবন সে মাটির গানে অস্ত্র ধরি।।
নতুন একটি কবিতা লিখতে যুদ্ধ করি―
মোরা নতুন একটি গানের জন্য যুদ্ধ করি
মোরা একখানা ভালো ছবির জন্য যুদ্ধ করি
মোরা সারা বিশ্বের শান্তি বাঁচাতে আজকে লড়ি।।
যে নারীর মধু প্রেমেতে আমার রক্ত দোলে
যে শিশুর কান্না হাসিতে আমার বিশ্ব ভোলে
যে গৃহ কপোত সুখ স্বর্গের দুয়ার খুঁজে
সেই শান্তির শিবির বাঁচাতে শপথ করি।।
মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি
মোরা একটি সুখের হাসির জন্য আজি অস্ত্র ধরি।।
[গানটি লিখেছেন গোবিন্দ হালদার এবং গেয়েছেন আপেল মাহমুদ]



বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা


বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।
তোমার গুলির, তোমার ফাঁসির,
তোমার কারাগারের পেষণ শুধবে তারা
ও জনতা এই জনতা এই জনতা।।
তোমার সভায় আমীর যারা,
ফাঁসির কাঠে ঝুলবে তারা।।
তোমার রাজা মহারাজা,
করজোরে মাগবে বিচার।।
ঠিক যেন তা এই জনতা।
তারা নতুন প্রাতে প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে।
তারা ক্ষুদিরামের রক্তে ভিজে প্রাণ পেয়েছে।।
তারা জালিয়ানের রক্তস্নানে প্রাণ পেয়েছে।
তারা ফাঁসির কাঠে জীবন দিয়ে
    প্রাণ পেয়েছে, প্রাণ পেয়েছে।।
তারা গুলির ঘায়ে কলজে ছিঁড়ে প্রাণ পেয়েছে,
    প্রাণ পেয়েছে এই জনতা।
নিঃস্ব যারা সর্বহারা তোমার বিচারে।
সেই নিপীড়িত জনগণের পায়ের ধারে।।
    ক্ষমা তোমায় চাইতে হবে
    নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।।
    রক্ত দিয়ে শুধতে হবে।
    নামিয়ে মাথা হে বিধাতা।।
         ঠিক যেন তা এই জনতা।
বিচারপতি তোমার বিচার করবে যারা
আজ জেগেছে এই জনতা, এই জনতা।।





সালাম সালাম হাজার সালাম
সালাম সালাম হাজার সালাম
   সকল শহীদ স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
   তাদের স্মৃতির চরণে।।
মায়ের ভাষায় কথা বলাতে
স্বাধীন আশায় পথ চলাতে
হাসিমুখে যারা দিয়ে গেল প্রাণ
সেই স্মৃতি নিয়ে গেয়ে যাই গান
   তাদের বিজয় মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
   তাদের স্মৃতির চরণে।।
ভাইয়ের বুকের রক্তে আজি
রক্ত মশাল জ্বলে দিকে দিকে
সংগ্রামী আজ মহাজনতা
কন্ঠে তাদের নব বারতা
   শহীদ ভাইয়ের স্মরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
   তাদের স্মৃতির চরণে।।
বাংলাদেশের লাখো বাঙালি
জয়ের নেশায় আনে ফুলের ডালি
আলোর দেয়ালি ঘরে ঘরে জ্বালি
ঘুচিয়ে মনের আঁধার কালি।
শহীদ স্মৃতি বরণে,
আমার হৃদয় রেখে যেতে চাই
তাদের স্মৃতির চরণে।।



বাংলাদেশ
কন্ঠঃ আজম খান
অ্যালবামঃ বাংলাদেশ

——————————–

রেললাইনের ঐ বস্তিতে
জন্মেছিল একটি ছেলে
মা তাঁর কাঁদে
ছেলেটি মরে গেছে

রেললাইনের ঐ বস্তিতে
জন্মেছিল একটি ছেলে
মা তাঁর কাঁদে
ছেলেটি মরে গেছে
হায়রে হায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ(২)

কত আশা ছিল তাঁর জীবনে
সব স্মৃতি রেখে গেল মরণে(২)
মা তাঁর পাশে চেয়ে বসে আছে
হায়রে হায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ

কত মার অশ্রু আজ নয়নে
কে তা মুছাবে বা কেমনে(২)
যে চলে যায় সে কি ফিরে আসে
হায়রে হায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ
বাংলাদেশ
বাংলাদেশ বাংলাদেশ বাংলাদেশ





More coming soon................























Popular Posts