নাম মোহাম্মদ বোল রে মন
নজরুল গীতি
——————————–
নাম মোহাম্মদ বোল রে মন নাম আহমদ বোল।
যে নাম নিয়ে চাঁদ-সেতারা আস্মানে খায় দোল।।
পাতায় ফুলে যে নাম আঁকা
ত্রিভুবনে যে নাম মাখা,
যে নাম নিতে হাসিন ঊষার রাঙে রে কপোল।।
যে নাম গেয়ে ধায় রে নদী,
যে নাম সদা গায় জলধি,
যে নাম বহে নিরবধি পবন হিল্লোল।।
যে নাম রাজে মরু-সাহারায়,
যে নাম বাজে শ্রাবণ-ধারায়,
যে নাম চাহে কাবার মসজিদ – মা আমিনার কোল।।
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ
নজরুল গীতি
——————————–
ত্রিভুবনের প্রিয় মোহাম্মদ এলো রে দুনিয়ায়।
আয় রে সাগর আকাশ বাতাস দেখ্বি যদি আয়।।
ধূলির ধরা বেহেশ্তে আজ, জয় করিল দিলরে লাজ।
আজকে খুশির ঢল নেমেছে ধূসর সাহারায়।।
দেখ্ আমিনা মায়ের কোলে, দোলে শিশু ইসলাম দোলে।
কচি মুখে শাহাদাতের বাণী সে শোনায়।।
আজকে যত পাপী ও তাপী, সব গুনাহের পেল মাফী।
দুনিয়া হতে বে-ইনসাফী জুলুম নিল বিদায়।।
নিখিল দরুদ পড়ে লয়ে নাম, সাল্লাল্লাহু আলায়হি ওয়া সাল্লাম।
জীন পরী ফেরেশ্তা সালাম জানায় নবীর পায়।।
আমায় নহে গো
আমায় নহে গো ভালোবাসো শুধু
ভালোবাসো মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান ।
চাদেরে কে চায় জোসনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে
তুমি বুঝিবে না
আলো দিতে কত পোড়ে
কত প্রদীপের প্রাণ ।
ভালোবাসো মোর গান
বনের পাখিরে কে চিনে রাখে
গান হলে অবসান ।
চাদেরে কে চায় জোসনা সবাই যাচে
গীত শেষে বীণা পড়ে থাকে ধূলি মাঝে
তুমি বুঝিবে না
আলো দিতে কত পোড়ে
কত প্রদীপের প্রাণ ।
যে কাটা লতার আখিঁজল
ফুল হয়ে উঠে ফুটে
ফুল নিয়ে তার দিয়েছো কি কিছু
শূন্য পত্র পুটে ।
ফুল হয়ে উঠে ফুটে
ফুল নিয়ে তার দিয়েছো কি কিছু
শূন্য পত্র পুটে ।
সবাই তৃষ্ণা মেটায় নদীর জলে
কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে
বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান ।
কি তৃষা জাগে সে নদীর হিয়া তলে
বেদনার মহা সাগরের কাছে করো সন্ধান ।
তুমি সুন্দর তাই
তুমি সুন্দর তাই চেয়ে থাকি প্রিয়
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে চেয়ে দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি ঝুরে চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে চেয়ে দেখে তার দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
সেকি মোর অপরাধ?
চাঁদেরে হেরিয়া কাঁদে চকোরিণী
বলে না তো কিছু চাঁদ।।
চেয়ে চেয়ে দেখি ফোটে যবে ফুল
ফুল বলে না তো সে আমার ভুল
মেঘ হেরি ঝুরে চাতকিনী
মেঘ করে না তো প্রতিবাদ।
জানে সূর্যেরে পাবে না
তবু অবুঝ সূর্যমুখী
চেয়ে চেয়ে দেখে তার দেবতারে
দেখিয়াই সে যে সুখী।।
হেরিতে তোমার রূপ-মনোহর
পেয়েছি এ আঁখি, ওগো সুন্দর।
মিটিতে দাও হে প্রিয়তম মোর
নয়নের সেই সাধ।।
খেলিছ এ বিশ্বলয়ে
বিরাট শিশুর আনমনে।
প্রলয় সৃষ্টি তব পুতুল খেলা
নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
শূণ্যে মহা আকাশে
তুমি মগ্ন লীলা বিলাসে
ভাঙ্গিছ গড়িছ নীতি ক্ষণে ক্ষণে
নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
তারকা রবি শশী
খেলনা তব হে উদাসী
পড়িয়া আছে রাঙা
পায়ের কাছে রাশি রাশি।
নিত্য তুমি হে উদার
সুখে-দুখে অবিকার।
হাসিছ খেলিছ তুমি আপন সনে
নিরজনে প্রভু নিরজনে।।
মোর প্রিয়া হবে এসো রাণী
মোর প্রিয়া হবে এসো রানী দেবে খোঁপায় তারার ফুল
কর্ণে দোলাবো তৃতীয়া তিথীর চৈতি চাদের দুল
কন্ঠে তোমার পরাব বালিকা
হংস সারির দোলানো মালিকা
বিজলী জরীণ ফিতায় বাধিব মেঘরং এলোচুল ।।
জোস্নার সাথে চন্দন দিয়ে মাখাব তোমার গায়
রামধনু হতে লাল রং ছানি আলতা পরাব পায়
আমার গানের সাত সুর দিয়া
তোমার বাসর রচিব প্রিয়া
তোমারে ঘেরিয়া গাহিবে আমার কবিতার বুলবুল ।।
শাওন রাতে যদি
শাওন রাতে যদি স্নরণে আসে মোরে
বাহিরে ঝড় বহে নয়নে বারি ঝরে
ভুলিও স্মুতি মম, নিশীথ স্বপন সম
আচলের গাথামালা ফেলিও পথ পরে ।।
ঝুরিবে পুবালি বায় গহন দূর বনে
রহিবে চাহি তুমি একেলা বাতায়নে
বিরহি কুহু কেকা গাহিবে নীপশাখে
যমুনা নদী পাড়ে শুনিবে কে যেন ডাকে
বিজলী দ্বীপশিখা খুজিবে তোমায় প্রিয়া
দুহাতে ঢেকো আখি যদি গো জলে ভরে ।।
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আকাশে আজ ছড়িয়ে দিলাম প্রিয়
আমার কথার ফুল গো আমার গানের মালা গো
কুড়িয়ে তুমি নিও
আমার সুরের ইন্দ্রধনু
রচে আমার ক্ষনিক তনু
জড়িয়ে আছে সেই রংয়ে মোর অনুরাগ অমিয়
মোর আখি পাতায় নাই দেখিলে আমার আঁখিজল
মোর কন্ঠের সুর অশ্রুভারে করে টলমল
আমার হৃদয় -পদ্ম ঘিরে
কথার ভ্রমর কেদে ফিরে
সেই ভ্রমরের কাছে আমার মনের মধু পিও ।
আমার কথার ফুল গো আমার গানের মালা গো
কুড়িয়ে তুমি নিও
আমার সুরের ইন্দ্রধনু
রচে আমার ক্ষনিক তনু
জড়িয়ে আছে সেই রংয়ে মোর অনুরাগ অমিয়
মোর আখি পাতায় নাই দেখিলে আমার আঁখিজল
মোর কন্ঠের সুর অশ্রুভারে করে টলমল
আমার হৃদয় -পদ্ম ঘিরে
কথার ভ্রমর কেদে ফিরে
সেই ভ্রমরের কাছে আমার মনের মধু পিও ।
0 comments:
Post a Comment