যারা youtube এ কাজ করে আয় করতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস।
youtube help bd, how to make youtube channel
যারা youtube এ কাজ করে আয় করতে চান তাদের জন্য কিছু টিপস।
তবে আগে থেকেই বলে রাখি যাদি আমাদের গ্রুপে এমন কেউ থাকেন যে ছেলে হয়ে মেয়ে আইডি চালাচ্ছেন তাহলে তাকে গ্রুপ থেকে ………… করে দেওয়া হবে।
যদি কেউ বলেন ভাই ইনবক্সে আসেন তাহলে তো কথাই নাই সাথে সাথে………… করে দিব।
কেউ টাকার বিনিময় কাউকে হেল্প করবেন না। আমাদের এই গ্রুপ্টা সবাইকে হেল্প করার জন্য টাকা আয় করার জন্য নয়।মানুষকে শিখাইলে জ্ঞান কমে যাবে না বরং বেড়ে যাবে। এখন আপনি চিন্তা করেন জ্ঞান কি বাড়াবেন নাকি।
---------------------------------------------------------
আপনাদের সহজ একটি উদাধরণ দেই অনেকে বলে আমি কিছুই পারি না। আমি তাদের প্রশ্ন করব আপনি ডিম ভাজি করতে জানেন ? হাস্যকর মনে হলেও এটা দিয়ে যদি আপনি ইউটিউব সারচ করেন তাহলে সবার প্রথমে একটা ভিডিও পাবেন যার ভিউ 55,561 জন।
আমি আপনাদের এই জিনিস বুঝাতে চেষ্টা করছি একেবারে ছোটখাটো বিষয় নিয়ে চিন্তা করেন। আপনি যদি ভাবেন এই বিষয় এ সবাই জানে তাহলে আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না ইউটিউব এ। কারণ প্রত্যক বিষয় নিয়ে Youtube এ কেউ না কেউ আলোচনা করে ফেলেছে। ত এসব চিন্তা বাদ দিতে হবে। কে কি করেছে না দেখে আপনি জিনিস্টা আবার নিজের মত করে করে দেখিয়ে দিন।
ভাবুন, নিজের ভিতরের লুকিয়ে থাকা জিনিস বের করে আনার চেষ্টা করুন। আপনি আজ ডিম ভাজা দিয়ে শুরু করবেন কাল আপনি মুরগি ভাজি পারবেন। আপনি যদি এখন ডিম ভাজা শুরু না করেন মুরগি কিন্তু ভাজি করতে আর পারবেন না। সো দিস আপ টু ইউ ভাবুন,আপনার ব্যাপারে আপনি ছাড়া বেশি অন্য কেউ জানবে না।
প্রথম প্রথম আপনার লজ্জা লাগতে পারে ক্যামেরার সামনে আসতে, কথা বলতে এসব লজ্জা ফেলে দিন।লজ্জা ফেলে না দিলে ইউটিউব এ কিছুই করতে পারবেন না।
আমার কথা চিন্তা করুন। আমি নিজের ভয়েস শুনলে নিজেই ভয় পাই। ত আমি ত কাজ করছি। কে কি ভাবল আমি তা নিয়ে চিন্তা করি না। আমি ইংরেজি পারি না, কিন্তু আমি পিছিয়ে নেই আমি আমার বাংলা ভাষাকেই কাজে লাগাচ্ছি।
আরে আপনি যদি লজ্জা পেয়ে ঘরে বসে থাকেন তাহলে কি ভাবে আয় করবেন?
আপনার বিপদে কি অন্যরা এগিয়ে আসবে নাকি আপনার বিপদ আপনি নিজেই সামাল দিতে চান?
আপনিও পারবেন ভাবুন,আপনার ভাবা সহজ করবে। স্বপ্ন দেখুন স্বপ্ন সত্যি হবে।
Youtube এ গিয়ে লিখুন : How to দেখবেন হাজার হাজার ভিডিও,ছোট ছোট ভিডিও সেগুলো একটু লক্ষ্য করুন তারা কি নিয়ে ভিডিও দিচ্ছে। হটাৎ দেখবেন আপনি একটি ভিডিও দেখে বললেন এটা আপনিও পারেন এরকম।আপনি দেখুন মানুষ কি করছে তখন দেখবেন সেখান থেকেই আপনি দেখলেন আপনি ওটা পারেন। চেষ্টা আর ধৈয্য থাকলে আপনাকে স্বাগতম এই অনলাইন কোর্সে।
আরো দুটি বিষয় : আপনি টপিক পেয়ে গেলে Google Trends এ গিয়ে টপিক যাচাই করতে পারেন। কত মানুষ এই টপিক নিয়ে সার্চ দেয় তা দেখতে পারেন।
---------------------------------------------------------------------------
ভিডিও ক্যামেরা দিয়ে ভিডিও তৈরি করুন। আর আপনার যদি কোনও ভিডিও ক্যামেরা না থাকে তাহলে আপনি এক্ষেত্রে আপনার কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেন। একটা বিষয়কে মাথায় রাখবেন, তা হলো- আপনাকে অবশ্যই মজাদার/ শিক্ষনীয় ভালো মানের ভিডিও তৈরি করতে হবে। যদি আপনি আপনার চ্যানেলটিকে টিউটোরিয়ালের নির্ভর করতে চান তবে আপনি এখানে ভিডিও টিউটোরিয়ালই আপলোড করেন অন্য কিছু নয়। কিংবা যদি ভিডিও গান বা নাটক এর চ্যানেল বানাতে চান তবে তাও বেশ জনপ্রিয় হতে পারে। একটা কথা মাথায় রাখতে হবে আপনি যখন আপনার ভিডিও গুলি আপলোড দেবেন, তখন অবশ্যই আপনার কী-ওয়ার্ডগুলো দিয়ে দেবেন এবং সাথে সাথে আপনার ভিডিও এর ডেসক্রিপশনটাও দিয়ে দেবেন। এবার আপনার আপলোডকৃত ভিডিও বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে শেয়ার করুন। কারণ শুধু আপলোড করে দিলেই হবে না জনপ্রিয় হতে হলে আপনার ভিডিওগুলো বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইট যেমন: ফেসবুক, টুইটার, গুগোল+ ইত্যাদি সমূহে শেয়ার করুন।
আপনার ভিডিওয়ের জন্য ব্যাকলিংক তৈরী করুন। একটা কথা ভাল করে মনে রাখবেন, YouTube ভিডিও পাবলিশিংও এক ধরনের ব্লগিং। তাই, আপনাকে ইউটউব, গুগোল এবং অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে ভাল অবস্থানে আসার জন্য অবশ্যই কিছু ব্যাকলিংক তৈরী করতে হবে। শুধু আপনার টপিক রিলেটেড সাইটে লিংক তৈরি করুন। আপনার প্রতিযোগীদের বা আপনার মত কাজ করছেন এরকম লোকদের অনুসরণ করুন। আপনি যদি সফল হতে চান, তাহলে আপনার প্রতিযোগীদেরকে অনুসরণ করুন। দেখুন তারা কিভাবে সফল হচ্ছেন। তাদের সফলতার ইতিহাসটা পড়ুন।কিভাবে ইউটিউব থেকে আয় করবেন : আপনি যদি উন্নতমানের জনপ্রিয় ভিডিও তৈরি করতে পারেন, বা আপনার চ্যানেল জনপ্রিয় হয় তাহলে আপনি ইউটিউবের অ্যাডসেন্স পার্টনারশিপ থেকেই একটা অফার পেতে পারেন। ওরা আপনাকে পার্টনার করলে প্রতি মাসে একটা ভাল এমাউন্টের টাকা দেবে। YouTube Partnership পার্টনারশিপের জন্য আবেদন করতে পারেন। যদি তারা আপনাকে রিজেক্ট করে তাহলে পুনরায় এপ্লাই করার জন্য আপনাকে আরো ২ মাস অপেক্ষা করতে হবে। আর যদি আপনার চ্যানেলকে তারা একসেপ্ট করে তাহলে তো গেল।
আর আপনার চ্যানেলে যত বেশী Subscriber হবে তা আপনার জন্য অনেক ভাল।এছাড়াও বিভিন্ন পণ্যের ভিডিও রিভিউ দিয়ে বা বিভিন্ন অ্যাডভারটাইজিং ভিডিওয়ের মাঝে দিয়ে আয় করা যায়। এছাড়া ভিডিওয়ের ডিসক্রিপশনে বিভিন্ন পণ্যের এফিলিয়েট লিংক দিয়ে দি্তে পারেন। কোনও পণ্য বিক্রয় হলেই আপনি টাকা পাবেন। তাছাড়া আপনি যদি সুন্দর একটা নামের বা ভালো কী-ওয়ার্ডের চ্যানেলের মালিক হন তবে সেটা পরে বিক্রি করে দিতে পারেন। অনেকেই আছে যারা টার্গেটেড কিওয়ার্ডের বা সুন্দর নামের চ্যানেল ক্রয় করে থাকেন। যদিও ইউটিউব অফিসিয়ালি এটা সাপোর্ট করে না কিন্তু তার পরেও হয়। তবে এটা সময় সাপেক্ষ। মোট কথা আপনি যদি কোয়ালিটি সম্পন্ন জনপ্রিয় ভিডিও তৈরী করতে পারেন, তাহলে আপনিও ইউটিউব থেকে আয় করতে পারেন বেশ কয়েক হাজার হাজার টাকা।

 Youtube Channel Parves World

Popular Posts